মহা-রাজনীতির প্রভাব? বেঙ্গালরুতে বিরোধী বৈঠকের দিন ঘোষণা কংগ্রেসের

মহা-রাজনীতির প্রভাব? বেঙ্গালরুতে বিরোধী বৈঠকের দিন ঘোষণা কংগ্রেসের

মহা-রাজনীতির প্রভাব কি ক্রমেই প্রকট হচ্ছে বিরোধী জোটের উপর। বিরোধী বৈঠক নিয়ে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত সেই জল্পনাই নতুন করে উসকে দিল। কারণ বেঙ্গালুরুর বৈঠক পিছিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তড়িঘড়ি বৈঠকের দিন ঘোষণা করে দিলেন কেসি ভেনুগোপাল। সোমবার কংগ্রেসের তরফে ভেনুগোপাল বলে দেন, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোটের বৈঠক হবে ১৭ ও ১৮ জুলাই। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাটনার বৈঠকে হাজির সমস্ত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

অজিত পওয়ারের ‘বিদ্রোহে’র জেরে খানখান মারাঠা ‘স্ট্রংম্যানে’র পাওয়ার। এই পরিপ্রেক্ষিতে বেঙ্গালুরুর বিরোধী বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আগে ঠিক ছিল, ১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলির দ্বিতীয় বৈঠক হবে। স্বয়ং শরদ পওয়ার সেই দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু রবিবার তাঁর শিবিরই বড়সড় ধাক্কা খায়। ৮ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ছেড়ে বেরিয়ে এনডিএ’র সঙ্গে হাত মেলান অজিত পওয়ার। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নেন। আর তাতেই বিরোধী সমীকরণ এলোমেলো হয়ে যায়।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শরদের শিবিরে ভাঙন ধরায় জাতীয় স্তরে হঠাৎই কোণঠাসা এনসিপি। বিরোধী জোটের মুখ হিসেবে অনেকটাই প্রকট হয়ে উঠছে রাহুল গান্ধীর মুখ। এমনকী উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করার নেতৃত্বে রাহুল গান্ধী বড় ভূমিকা গ্রহণ করলে লাভ কংগ্রেসেরই। সেই কারণেই এনসিপি শিবিরের ভাঙনকে কাজে লাগিয়ে আগেভাগেই বৈঠকের পক্ষে হাত শিবির। এখন দেখার বাকি বিরোধী দলকে কোন পথে এগোয়।